, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে হাটু পানি

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৩ ১১:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৩ ১১:২৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে হাটু পানি
মোঃ আতিকুর রহমান, সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা গ্রাম রঙ্গাছড়া ও বীরেন্দ্রনগর। গ্রাম দুটিতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার মধ্যে ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বীরেন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার বর্তমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৩৬ জন। অপরটি রঙ্গাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যার বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮৩ জন।

স্কুল দুটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে আছে স্কুল-দুটির চারপাশে। দুটি স্কুলের মাঠই পানিতে নিমজ্জিত। জলাবদ্ধতার কারণে স্কুলে স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মূল সড়ক থেকে স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ায় এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাপনা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রতিনিয়তই পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। পুরো বর্ষাকাল জুড়েই স্কুলের মাঠ দুটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে বলে জানা যায়। অল্প কিছু অংশে পানি কম থাকলেও তা স্যাঁতস্যাঁতে। পানিতে ভিজে কাদা মাড়িয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে গিয়ে প্রবেশ করলেও ছুটি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল ছেড়ে নামতে পারছে না মাঠে। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণীকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। 

অপরদিকে স্কুল খোলা থাকলেও কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। ফলশ্রুতি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের এবং স্কুলের মাঠে মাটি ভরাটের জোর দাবি জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাটি ভরাট না করার কারনে সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমাণ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যার দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব ভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মাঠে জমে থাকা কাদা পানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারছেনা।

স্কুল দুটিতে পড়ুয়া বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানায়, আমরা স্কুলে আসার সময় প্যান্ট ভিজে যায় কাদার জন্য হাটতে পারি না। স্কুলের বারান্দা থেকে তো নিচে নামাই যায় না বীরেন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, স্কুল দুটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি পাহাড়ি ছড়া। একদিকে বৃষ্টির পানি অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানির কারনে বর্ষাকালে অধিকাংশ সময়ই স্কুলের মাঠে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে বর্ষার পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

রঙ্গাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহাম্মদ জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছে যার কাজ চলমান রয়েছে। নতুন ভবনের কাজ শেষ হলেই স্কুল মাঠে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবার কথা রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রঙ্গাছড়াতে একটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আর জুন মাস শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে নতুন কোন বরাদ্দ না থাকায় আপাতত মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ বীরেন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দিতে পারছিনা। আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চাহিদা পাঠিয়েছি, আশা করছি আগামী বছর এ স্কুল মাঠের মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ হবে। তবে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চাইলে এ সমস্যাটির এখনই সমাধান করা যায়। কারন তাদের কাছে শিক্ষাখাতের জন্য অনেক বরাদ্দ থাকে।
সর্বশেষ সংবাদ
‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’

‘গণহত্যার জন্য যাদের অনুশোচনা নেই, তারা রাজনীতি করারও অধিকার হারিয়েছে’